মাগুরার চাঞ্চল্যকর রাজু হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার ও ফাসিঁসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন পালন করেছে তখোলপুর গ্রামবাসী।
এ দিকে রিমান্ড শুনানী শেষে আজ বৃহস্পতিবার রাজু হত্যার প্রধান আসামী শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মশিয়ার রহমানসহ দুই জনকে দুইদিনের জেলগেটে জিঙ্গাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। হত্যাকান্ডের পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার রাতে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার তখোলপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় রমজান হোসেন রাজু (২২) নামে অনার্স ২য় বর্ষের এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শুকদেব রায় জানান, শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমান সমর্থিত তখোলপুর গ্রামে বর্তমান মেম্বর আব্দুর রউফ গ্রæপের সশস্ত্র লোকজন বিপক্ষ সাবেক মেম্বর মকবুল গ্রæপের আকতার হোসেনের ছেলে রমজান হোসেন রাজু (২২) কে সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রাজু ফরিদপুর রাজন্দ্র কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল।
রাজুর পিতা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানকে প্রধান আসামী করে ৩৪ জনের নামে হত্যা মামলা রুজু করে। পুলিশ ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, শ্রীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মশিয়ার রহমানের সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কালাম মাষ্টারের দীর্ঘদিনের বিরোধের সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে তখোলপুর দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু-গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মকুবল মেম্বরের সমর্থকরা আব্দুর রউফকে পিটিয়ে আহত করে। রবিবার দুপুরে আব্দুর রউফের সমর্থকরা ফারুক ও দাউদের নেতৃত্বে মকবুল মেম্বরের সমর্থকদের ২০ টি বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও চেয়ারম্যানের নির্দ্দেশে সোমবার পরিকল্পিত ভাবে রাজু কে হত্যা করা হয়।