মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামে বহুল আলোচিত ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার প্রধান আসামী নজরুল ইসলাম মেম্বরসহ মোট ৫জনকে সোমবার বিকালে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে আসামীদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন পরবর্তীতে শুনানীর নির্দ্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ হত্যা মামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মাগুরা পুলিশ ।
পুলিশ সুপার মোঃ জহিরুল ইসলাম দাবি করেন, আসামীদের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে জানা গেছে- জগদলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই যুগ ধরে বিবাদমান দু’টি সামাজিক গ্রুপের মধ্যে এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। দু-দিন আগে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিশ্বংস ভাবে প্রতিপক্ষের তিন জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত ঐ তিন জন এবং কবির হত্যার প্রকৃত হত্যাকারী কারা তা দ্রুত পুলিশি তদন্তে প্রকাশ পাবে।
সোমবার বিকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মাগুরার পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ অক্টোবর মাগুরা গোয়েন্দা বিভাগের ওসি মোঃ জয়নাল আবেদিন মন্ডলের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকার ডিএমপি এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে চাঞ্চালকর হত্যার প্রধান আসামী নজরুল ইসলাম (৪৫), জালিম শেখ (৪৬) তুহিন হোসাইন (২৫) মো: রিয়াজ হোসাইন (২৪) ইয়ামিন হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আজ সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতদের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট্র আদালত মাগুরা-২ এর বিচারক হাসিবুল হাসান লাবু এর আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ এবং পরবর্তীতে রিমান্ড শুনানীর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত (১৫ অক্টোবর) আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে মেম্বর পদ নিয়ে মাগুরা সদরের জগদল গ্রামে দুই মেম্বর প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ আলী হাসান গ্রæপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে চার জন খুন হয়। সৈয়দ আলী হাসান গ্রæপের আপন দুই ভাই সবুর মোল্ল্যা (৫৫), কবির মোল্ল্যা (৫০) এবং চাচাতো ভাই রহমান মোল্ল্যা (৫০) ও প্রতিপক্ষের ইমরান হোসেন (৪০) সহ চার জন নিহত হয়।
এ হত্যাকান্ডের তিনদিন পর (১৮ অক্টোবর) মাগুরা সদর থানায় নিহত সবুর মোল্ল্যার ছোট ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম মেম্বরকে প্রধান আসামী করে ৬৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।